ভারতীয় ট্রানজিট ভিসা কি ? কিভাবে করবেন বিস্তারিত জানুন এখানেই

ভারতে বর্তমানে প্রচুর বাংলাদেশী পর্যটক নিয়মিত আসা যাওয়া করছে । শুধু ভারত নয়  উপমহাদেশের  ভুটান নেপাল বাই রোড যেতেও অনেকে ভারতীয় ট্রানজিট ভিসা নিচ্ছে । আসলে বাই রোড খরচ অনেক কম বলে বিমানে না গিয়ে প্রচুর বাংলাদেশী পর্যটক বর্তমানে ভারতের উপর দিয়ে ট্রানজিট ভিসা নিয়ে ভুটান ঘুরে আসছে ।

আজকের আলোচনাটা তাই কিভাবে ট্রানজিট ভিসা পাবেন এ নিয়ে :)

নরমাল টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন এর বিস্তারিত এ পোস্টে পাবেন 

সাধারণ ভারতীয় ভিসার মতোই আবেদন করে ভারতীয় ভিসা সেন্টার থেকে আপনি পেতে পারেন ১৫-৩০ দিন মেয়াদী ট্রানজিট ভিসা ।  তবে নরমাল টুরিস্ট ভিসার সাথে এক্সটা কিছু কাজ করতে হয় । 

ট্রানজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে :


এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট ,আসুন জানি কি কি লাগে 

  • অনলাইনে ফরম পুরণ করে তার প্রিন্ট কপি , । ভিসা ফর্ম পুরণের সময় ভিসা টাইপ ট্রানজিট ও পোর্ট দিবেন বাই রোড চ্যাংরাবান্ধা /জঁয়গাও 
  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডযুক্ত দুই ইঞ্চি  বাই দুই ইঞ্চি  ছবি, ফরমের সাথে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে 
  • বাসে আসা যাওয়ার কনফার্ম  টিকেট সেক্ষেত্রে শ্যামলী বা এসআর পরিবহন/,মানিক পিংকি বরকত ট্রাভেলস বা অন্য যেকোন পরিবহনের বুড়িমারী বর্ডার  অথবা শিলিগুড়ি পর্যন্ত আসা যাওয়ার টিকেট ,এসি বা নন এসি যেকোন একটা দিলেই হবে  । যেহেতু কনফার্ম টিকেট কাটবেন বাসের সেহেতু ভ্রমণ তারিখ ও  এম্বেসীতে ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার তারিখের সাথে  দশ বারোদিন গ্যাপ রাখবেন কারণ জমা দেবার সাত আটদিন পর ভিসা দেওয়া হয় তাই বাসের টিকেটের তারিখ এর পরে হতে হবে  । বুঝা গেছেতো ? বাসের টিকেটের ফটোকপিও জমা দিতে হবে অরজিনাল কপির সাথে 
  •  বর্তমানে ভুটানে হোটেল রিজার্ভেশনের কাগজও দেখতে চায় ভারতীয় এম্বেসী ,তাই ভুটানে যে  হোটেল বুকিং দিয়েছেন এর কাগজও জমা দিতে হবে এক্ষেত্রে অনলাইনের কোন বুকিং দেবার সাই্টে  বুকিং দেখিয়ে বুকিং পেপারসটা প্রিন্ট করে নিলেই চলবে ।। 
  • পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের ফটোকপি (পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন ছয়মাস থাকতে হবে) আগে ইন্ডিয়ান ভিসা থাকলে তারও ফটোকপি লাগবে । পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেটা জমা দিতে হবে হারিয়ে গেলে জিডি কপি জমা দিতে হবে 
  • ন্যাশনাল আইডি বা জন্মসনদ এর ফটোকপি
  • বর্তমান ঠিকানার সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিল 
  • চাকরিজীবিদের ক্ষেত্রে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) ,ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স এবং ছাত্রছাত্রীদের আইডি কার্ডের ফটোকপি ।
  • ডলার এন্ড্রোসমেন্ট এর কপি অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি ।


এইতো বেরি সিম্পল , এসব কাগজপত্র নিয়ে চলে যাবেন যমুনা ফিউচার পার্ক অথবা দেশের যেকোন ভিসা সেন্টারে  জমা দিয়ে আসবেন ৫-৭ দিনের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাবেন আশা করা যায় :)


আর ভুটানে গেলেই অনএরাইভাল ভিসা পেয়ে যাবেন সেজন্য এক কপি ছবি আর পাসপোর্টের ফটোকপি সাথে রাখবেন ,অনেক সময় হোটেল বুকিং এর পেপারসও চাইতে পারে সেটাও সাথে রাখবেন :) আর কোন টাকা লাগেনা ভুটানের ভিসা পেতে :)

আরও কিছু বিষয় যা আপনার জানা জরুরী

# আপনার বর্তমানে কোন ট্যুরিস্ট ভিসা থাকলেও আপনি ট্রানজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন সেক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট ভিসা ক্যানসেল হয়ে যাবে কারণ একই সময়ে  ট্যুরিস্ট ভিসা এবং ট্রানজিট ভিসা সক্রিয় থাকেনা ।

# ট্রানজিট ভিসার ক্ষেত্রে আসা যাওয়ার সময় ভারতে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অবস্হান করতে পারবেন ।

# ট্রানজিট ভিসা সাধারণত ১৫দিনের মেয়াদে দেওয়া হয় ।

# বর্তমানে নেপালের জন্য কোন ট্রানজিট ভিসা দেওয়া হয়না শুধুমাত্র ভুটানের জন্য দেওয়া হয় । নেপালের সাথে ভারতের রাজনৈতিক ঝামেলা তৈরি হওয়ার পর নেপালের জন্য ট্রানজিট ভিসা দেওয়া বন্ধ আছে



এখনো কনফিউশন থাকলে আমাকে ফেইসবুকে নক দিতে পারেন 

2 comments:

Mohsin said...

মানুন ভাই, এই লেখার জন্য ধন্যবাদ।

M R Jannat Swapon said...

ভাই, গুলশান লেখা আছে। অইটা ঠিক করে দিয়েন।

Post a Comment

লেখাটি শেয়ার করুন